কিরগিজস্তান ভিসা আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো ভিসা রেডি হয়নি? ভিসা রেডি হয়েছে কিনা বা ভিসা কোন স্ট্যাটাসে আছে জানার জন্য ভিসা চেক করতে হবে।

কিরগিজস্তান ভিজিট ভিসা কিংবা কিরগিজস্তান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করলে ভিসা রেডি হয়েছে কিনা জানার জন্য কিরগিজস্তান ভিসা চেক করতে হয়। তাদের অফিসিল ওয়েবসাইট ভিজিট করে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন।

কিভাবে Kyrgyzstan visa check by passport number করতে হয় বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

কিরগিজস্তান ভিসা চেক

কিরগিজস্তান ভিসা চেক করতে https://www.evisa.e-gov.kg/check_status.php লিংকে ক্লিক করুন। এরপর, প্রথম ঘরে রেফারেন্স নাম্বার লিখুন। দ্বিতীয় ঘরে ছবিতে দেখানো ক্যাপচা কোডটি লিখুন। অতঃপর, NEXT বাটনে ক্লিক করে ভিসা রেডি হয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন।

এই পদ্ধতিতে ভিসা চেক করার জন্য ভিসা আবেদন করার সময় যে রেফারেন্স নাম্বার পেয়েছিলেন, সেটি প্রয়োজন হবে। উক্ত রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করে আপনার ভিসা হয়েছে কিনা যাচাই করতে পারবেন।

Kyrgyzstan visa check করতে নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এখানে ধাপে ধাপে বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।

Kyrgyzstan Visa Check

যারা কিরগিজস্তান ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, তারা নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন —

Kyrgyzstan visa check by passport number
  • কিসগিজস্তান ভিসা হয়েছে কিনা চেক করতে evisa.e-gov.kg লিংকে ভিজিট করুন
  • প্রথম ফাঁকা ঘরে রেফারেন্স নাম্বার লিখুন
  • দ্বিতীয় ঘরে ছবিতে দেখানো ক্যাপচা কোডটি লিখুন
  • NEXT বাটনে ক্লিক করে ভিসা চেক করুন

এই চারটি ধাপ অনুসরণ করে আপনার ভিসা রেডি হয়েছে নাকি পেন্ডিং অবস্থায় আছে জেনে নিতে পারবেন। ভিসা স্ট্যাটাস চেক করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

ভিজিট ভিসা/ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিংবা অন্য যেকোনো ভিসার জন্য আবেদন করলে উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে ভিসা স্ট্যাটাস যাচাই করতে পারবেন।

সঠিকভাবে ভিসা আবেদন করলে ভিসা আবেদনের একটি কপি পাবেন। ভিসা আবেদনের কপিতে থাকা রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করে ভিসা আপডেট চেক করতে পারবেন।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিরগিজস্তান ভিসা চেক

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিরগিজস্তান ভিসা চেক করার কোনো উপায় নেই। ভিসা আবেদন করার পর ভিসা আবেদনের কপিতে একটি রেফারেন্স নাম্বার দেয়া থাকে। উক্ত রেফারেন্স নাম্বার ব্যবহার করে ভিসা চেক করতে পারবেন।

অর্থাৎ, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন না। অনেক দেশের ভিসা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে চেক করা যায়। কিন্তু, কিরগিজস্তান ভিসা চেক করতে হলে ভিসা রেফারেন্স নাম্বার প্রয়োজন হবে।

উপরে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে কিরগিজস্তানের ভিসা তৈরি হয়েছে কিনা জানার জন্য আপনার ভিসা আবেদনের রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে Visa Check করতে পারবেন।

ভিসা নাম্বার দিয়ে কিরগিজস্তান ভিসা স্ট্যাটাস চেক?

ভিসা নাম্বার দিয়ে কিরগিজস্তান ভিসা স্ট্যাটাস চেক করতে evisa.e-gov.kg এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এটি কিরগিজস্তানের ভিসা স্ট্যাটাস চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। ভিজিট করার পর একটি ফরম দেখতে পাবেন।

এখানে, প্রথম ঘরে আপনার ভিসা আবেদনের রেফারেন্স নাম্বার লিখবেন। এরপর, দ্বিতীয় ঘরে ক্যাপচা কোডটি লিখবেন। অতঃপর, NEXT বাটনে ক্লিক করলে আপনার ভিসা স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।

অর্থাৎ, ভিসা পেন্ডিং আছে নাকি ডিসপ্যাচ হয়েছে নাকি রেডি হয়েছে সেটি জানতে পারবেন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে।

কিরগিজস্তান ইভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?

কিরগিজস্তান ইভিসা আবেদন করার পর ১৫ দিন থেকে ৩০ দিন সময় লাগে ভিসা প্রসেসিং হতে। ভিসা প্রসেসিং হওয়ার সময়ে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস জানার জন্য ভিসা চেক করতে পারবেন।

তবে, ৩০ দিনের মাঝে কিরগিজস্তানের ভিসা রেডি হয়ে যায়। যদি এর থেকেও বেশি সময় লাগে তবে ৪৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপরেও যদি ভিসা অনুমোদন না হয় অবশ্যই ভিসা চেক করে দেখুন রিজেক্ট করেছে কিনা।

যদি রিজেক্ট করে দেয় তাহলে ভিসা সেন্টার বা কিরগিজস্তান এম্বাসিতে যোগাযোগ করুন বিস্তারিত কারণ জানার জন্য।

এছাড়াও পড়ুন —

বাংলাদেশ থেকে কিরগিজস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?

কিরগিজস্তানের ভিসা পেতে চাইলে অনলাইনে কিংবা ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন করতে হবে। কিরগিজস্তানের ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে প্রথমেই। এরপর, ভিসা আবেদন করতে হবে।

আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাবেন, সেখানে থেকে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করুন। আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করে কিংবা অন্য মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করুন। অতঃপর, ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে অনলাইনে ভিসা আবেদন করুন।

ভিসা সেন্টার থেকেও ভিসা আবেদন করতে পারবেন। অথবা, কিরগিজস্তান ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

কিরগিজস্তানের ই ভিসার দাম কত?

কিরগিস্তানের ই ভিসা দাম সাধারণত ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। তবে, নিজে থেকে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করলে এবং ভিসা আবেদন করলে এর থেকে কম খরচ লাগতে পারে।

অন্য কারো সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন পর্যন্ত সবকিছু করলে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। অর্থাৎ, ৪ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৭ লক্ষ টাকার মাঝে বাংলাদেশ থেকে কিরগিজস্তান যেতে পারবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়।

কিরগিজস্তান ভিসা পাওয়া কি সহজ?

কিরগিজস্তান ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করার মাধ্যমে সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। তবে, ওয়ার্ক পারমিট না পেলে ভিসা পাওয়া সহজ হবেনা। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কিরগিজস্তান যেতে চাইলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট আগে নিতে হবে।

তাই, আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করে কিংবা অন্য মাধ্যমে প্রথমেই ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করুন। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট সহ যাবতীয় কাগজপত্র দিয়ে অনলাইনে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করুন। ইতোমধ্যে ভিসা আবেদন করে থাকলে ভিসা চেক করে দেখতে পারেন আপনার ভিসা রেডি হয়েছে কিনা।

শেষ কথা

কিরগিজস্তান ভিসা চেক করার পদ্ধতি শেয়ার করা হয়েছে এই পোস্টে। এছাড়া, কিরগিজস্তান ভিসা সম্পর্কিত আরও অনেক তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এমন আরও তথ্য জানতে ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখুন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *